কেমোথেরাপির সাইড ইফেক্ট কি কি হতে পারে।

কেমোথেরাপির সাইড ইফেক্ট

১। বমি বমি ভাব – এটি কেমোথেরাপির সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি। বমি বমি ভাব এবং বমি খুব অপ্রীতিকর হতে পারে এবং বমি প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এমন অনেকগুলি ওষুধ রয়েছে।

২। ডায়রিয়া – এটি কেমোথেরাপির আরেকটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এ ডায়রিয়া খুব অস্বস্তিকর হতে পারে এবং ডিহাইড্রেশন হতে পারে। অনেকগুলি ওষুধ রয়েছে যা ডায়রিয়া প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

৩। চুল পরা – এটি কেমোথেরাপির আরেকটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এটি ওষুধের কারণেই ঘটে, যা চুলের ফলিকল সহ দ্রুত বিভাজিত কোষগুলিকে আক্রমণ করে। চুল পড়া মানুষের জন্য খুব বিরক্তিকর হতে পারে, তবে এটি সাধারণত অস্থায়ী। কেমোথেরাপি শেষ করার কয়েক মাসের মধ্যে চুল সাধারণত বাড়তে শুরু করবে।

৪। ক্লান্তি – এটি কেমোথেরাপির একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এটি ওষুধের কারণেই ঘটে, যা শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কঠিন করে তুলতে পারে। ক্লান্তি খুব দুর্বল হতে পারে এবং কাজ করা, স্কুলে যাওয়া বা অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা কঠিন করে তুলতে পারে। ক্লান্তির কোনো প্রতিকার নেই, তবে অনেকগুলি জিনিস রয়েছে যা এটি পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া।

৫। সংক্রমণ – কেমোথেরাপি ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে, যা মানুষকে সংক্রমণের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে। সংক্রমণ গুরুতর হতে পারে, তাই জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা বা গলা ব্যথার মতো সংক্রমণের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে  একজন ডাক্তারের কাছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Main Menu