কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি: পার্থক্য কি?
কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি উভয়ই সাধারণ ক্যান্সারের চিকিৎসা, কিন্তু তারা বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে।
১। কেমোথেরাপি – কেমোথেরাপি ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলার জন্য ওষুধ ব্যবহার করে। ওষুধগুলি শিরার মাধ্যমে দেওয়া হয়, মুখ দিয়ে নেওয়া যেতে পারে বা পেশীতে ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। কেমোথেরাপি সারা শরীর জুড়ে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলতে পারে, তবে এটি সুস্থ কোষগুলিকেও ক্ষতি করতে পারে, যা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
২। রেডিওথেরাপি – রেডিওথেরাপি ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলার জন্য উচ্চ-শক্তির রশ্মি ব্যবহার করে। বিমগুলি শরীরের বাইরের একটি মেশিন থেকে (বাহ্যিক বিম বিকিরণ থেরাপি) বা শরীরের ভিতরে স্থাপিত তেজস্ক্রিয় উপাদান (অভ্যন্তরীণ বিকিরণ থেরাপি) থেকে বিতরণ করা যেতে পারে। রেডিওথেরাপি শরীরের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে পারে, তবে এটি সেই এলাকার সুস্থ কোষগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো:
কেমোথেরাপি | রেডিওথেরাপি |
ক্যান্সার এর কোষ মেরে ফেলার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়। | ক্যান্সার এর কোষকে মেরে ফেলার জন্য উচ্চ-শক্তির রশ্মি ব্যবহার করা হয়। |
ইনজেকশন নেওয়া এর মাধ্যমে দেওয় হয়ে থাকে | একটি মেশিন বা ডিভাইস দ্বারা দেওয়া হয়ে ঠাকে। |
শরিলের সব জায়গার কাজ করে ঠাকে | এটি মাএ নিদিষ্ট জায়গার জন্য দেওয়া হয় থেকে। |
বমি বমি ভাব, বমি, চুল পড়া এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে | ক্লান্তি, ত্বক পোড়া এবং অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে |
ক্যান্সার এর কোষ সঙ্কুচিত বা হত্যা করতে কার্যকর হতে পারে | ক্যান্সার কোষ সঙ্কুচিত বা হত্যা করতে কার্যকর হতে পারে |
.
কেমোথেরাপি নিয়ে আরো বিস্তারিত জানুন